এরপর তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ বলেন, “তার (কল্পনা) সোচ্চার কণ্ঠে ভীত হয়েই সেনাবাহিনী রাতের আঁধারে কাপুরুষের মতো তাকে অপহরণ করে।” সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা বলেন, “কল্পনা চাকমার অপহরণের এ দিনটি জাতীয় কলঙ্কের দিন। “কল্পনা চাকমা অপহরণ, সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা, তনু হত্যা সবাই বিচারহীনতার সংস্কৃতির শিকার।
বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি চলতে থাকলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই একদিন এর জবাব দিতে হবে।” বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক এ্যান্ড্রু সলোমার বলেন, “কল্পনা চাকমা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগ্রামী আদিবাসী জুম্ম নারী সমাজের এক নির্ভীক অগ্রসৈনিক। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং এদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।” সভায় হিল উইমেন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরা ত্রিপুরা।
দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার যথাযথ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে; অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন, শান্তি এবং নারী সমাজের নিরাপত্তা ও অগ্রগতির স্বার্থে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। পঙ্কজ ভট্টাচার্য পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, “এ অবস্থা চলতে থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অচিরেই আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে।”
সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে, তাতে গোটা জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। “এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে দেশে গুম হত্যা ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে পাকিস্তানিকরণ চলছে। তারা (হত্যাকারীরা) যা ইচ্ছা করে যাচ্ছে, অথচ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করা বর্তমান সরকার এদের বিচার না করে তাদের কথামতো কাজ করে যাচ্ছে।”
হিল উইমেন ফেডারেশনের সভাপতি চঞ্চনা চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দ্রা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি ক্যারিংটন চাকমা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্বতী রায়, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা, কাপেং ফাউন্ডেশনের হীরণ মিত্র চাকমা।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 Please Share a Your Opinion.: